বৈশ্বিক করোনা মহামারীর অভাবিত চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বিশ্বব্যাপী শিক্ষকরা উদ্যম ও সংগঠিত উদ্যোগে কিভাবে অগ্রণী ভূমিকা নিতে ও ভবিষ্যৎ ইতিবাচক সম্ভাবনার রূপরেখা তুলে ধরতে পারেন, তাকে উপজীব্য করে ইউনেস্কো বিশ্ব শিক্ষক দিবস-২০২০-এর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে- ‘সংকটে নেতৃত্বদাতা, ভবিষ্যতের রূপদর্শী শিক্ষক’। আজ ৫ অক্টোবর দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশে দেশে উদযাপিত হচ্ছে। বলা বাহুল্য, শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠন ও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা এতে অংশ নিচ্ছেন।

বাংলাদেশে শিক্ষকদের অবস্থার বাস্তব চিত্র:

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নারী শিক্ষকদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষকের সংখ্যা নিতান্তই স্বল্প। তবে বর্তমান সময়ে নারী শিক্ষকদের সংখ্যা বাড়ছে; নারী শিক্ষকদের কেউ কেউ উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদেও দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও কারিগরি শিক্ষায় মেয়ে শিক্ষার্থী ও নারী শিক্ষকের সংখ্যা অতি সামান্য। তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষক কোথাও  কর্মরত আছেন- তেমনটি জানা নেই। ভারতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে একজনের দায়িত্ব পালনের কথা শোনা গেলেও পরে জানা যায়, সহকর্মীদের অসহযোগিতার কারণে তাকে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হয়েছে।

আমরা যদি সাম্প্রতিক সময়ের দিকে লক্ষ্য করি, আমাদের সকলের প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা। দেশে যেভাবে ধর্ষণ , ইভ-টিজিং, অশ্লীলতা বেড়েই চলেছে এতে একটি বিষয় পরিষ্কার যা হলো মানসম্মত শিক্ষা।

আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষা আমাদের শিক্ষিত করতে পারলেও নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে পারছে না। আমাদের শিক্ষকেরা আমাদের কাছ থেকে আগের মত শ্রদ্ধা কিংবা সম্মান কি পাচ্ছেন! একজন শিক্ষকের বেতন কি মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট!

আমাদের এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হয়তো এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।

আজকের দিনটা তখনই সার্থক যখন আমরা নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবো এবং আমাদের শিক্ষকেরা আমাদের থেকে প্রকৃত সম্মান লাভ করবেন।