২০ নভেম্বর অপরাজিতার কৈশোর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম জেলা পার্বত্য রাঙামাটির রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে।
বুধবার দুপুরে বিদ্যালয় মিলনায়তনে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে তিনটি ধাপে পরিচালিত হয় কর্মশালা।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রণতোষ মল্লিক, উপজেলা তথ্য অফিসের কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ও স্কিল ড্রপসের উপদেষ্টা মোঃ ইব্রাহীম। জীবন’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যতম অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলার বরুরা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম।
জীবন’র সমন্বয়ক তাহমিনা ইয়াছমিন এর সঞ্চালনায় কর্মশালায় ‘নিরাপদ স্পর্শ’ নিয়ে আলোচনা করেন জীবনের সাধারণ সম্পাদক সাজিদ-বিন-জাহিদ (মিকি)। মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে একটি চমৎকার উপস্থাপনা প্রদান করেন তিনি।
বয়ঃসন্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন তাহমিনা ইয়াছমিন এবং শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্বে ৬টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দেন। প্রধান শিক্ষক রণতোষ মল্লিক তাঁর বক্তব্যে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অপরাজিতা ও জীবন টিমকে অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানান।
মঞ্চে দ্বিতীয় অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন জীবনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদা জান্নাত। তিনি মাসিককালীন স্বাস্থ্যের যতœ নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেন এবং শিক্ষার্থীদের মাসিকের মত স্বাভাবিক বিষয়টিকে কোনধরনের কুসংস্কারের বেড়াজালে না ফেলতে সবাইকে সচেতন করার অনুরোধ করেন। দ্বিতীয় অধিবেশনে আরো বক্তব্য রাখেন অপরাজিতার সমন্বয়ক পলি ত্রিপুরা। তার কর্মশালায় ছাত্রীদের স্যানিটারী ন্যাপকিন ব্যবহারের পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। অতিথিদের বক্তব্যে বরুরা থেকে আগত মোঃ সাইফুল ইসলাম অপরাজিতা টিমকে এমন কৈশোরবান্ধব কর্মশালা আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং এমন কর্মসূচি ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন। মোহাম্মদ ইব্রাহীম তাঁর বক্তব্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অপরাজিতার অবদান বিশেষ করে, এসডিজি ৩ ও ৪ অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে বলে সংগঠনটিকে সাধুবাদ জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম অপরাজিতার কার্যক্রম রাঙামাটির প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিচালনার ব্যাপারে তাঁর উদ্যোগ ও সহযোগিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অন্যান্য উপজেলায় অপরাজিতার কর্মশালা আয়োজনে পরিকল্পনা গ্রহণে সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
কর্মশালার শেষে শিক্ষার্থীদের স্যানিটারি ন্যাপকিন উপহার হিসেবে প্রদান করেন নাসরিন ইসলাম এবং অপরাজিতার পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের টয়লেটকে মাসিকবান্ধব টয়লেটে রূপান্তরিত করার ব্যাপারে প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ করা হয়। কৈশোর কর্মশালায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত করা হয় আজকের অপরাজিতা।
