বয়ঃসন্ধিকালে একজন কিশোর কিংবা কিশোরীর বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে যার ফলে তাকে এই সময়ে শরীরের যত্নে খুবই সতর্ক থাকতে হয়। অপরাজিতা সেই সময়ের বেশকিছু সচেতনতাই তুলে ধরছে। চিন্তিত না হয়ে, যত্নবান হোন।
পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্যের শ্রেণি বিভাগ:
১. শক্তিদায়ক খাবার
- শর্করা বা শ্বেতসার সমৃদ্ধ খাবার, যেমন : চাল, গম, ভুট্টা, চিনি, গুড়, আলু, মধু ইত্যাদি।
- তেলসমৃদ্ধ খাবার, যেমন : তেল, ঘি, মাখন, বাটার, চর্বি ইত্যাদি।
২. শরীর বৃদ্ধিকারক ও ক্ষয়পূরক খাবার
- প্রাণিজ আমিষ : মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও দুধজাত খাবার।
- উদ্ভিজ আমিষ : বিভিন্ন ধরনের ডাল, সয়াবিন, বাদাম, সীমের বীচি, মটরশুঁটি, তৈলবীজ (তিল/সরিষা) ইত্যাদি।
৩. রোগ প্রতিরোধক খাবার
- খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন ও খণিজ লবণ সমৃদ্ধ খাবার। যেমন: গাঢ়, রঙিন শাক-সবজি, বিভিন্ন ফলমূল, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি।
৪. পানি ও তরল খাবার
- সকল ধরনের তরল পানীয় যেমন: বিশুদ্ধ পানি, দুধ, ডাবের পানি, ভাতের মাড়, ডালের পানি, শরবত ইত্যাদি।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা বয়ঃসন্ধিকালের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক । এ সময় ছেলে-মেয়েদের ঘাম বেশি হয় এবং চামড়া তেলতেলে হয়। শরীরের ঘামে, বিশেষ করে বগলের ঘামে বা কাপড়ের নিচে ঢেকে থাকা অঙ্গে কিছুটা দুর্গন্ধ হতে পারে। তাই শরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা অত্যন্ত জরুরি ।
- শরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হাত, পা, চোখ, কান, নাক, চুল, নখ যেমন প্রতিদিন পরিষ্কার রাখা দরকার তেমন ভাবে শরীরের যেসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঢাকা থাকে, প্রতিদিন সেগুলোও পরিষ্কার রাখতে হয় । এ জন্য প্রতিদিন পরিষ্কার পানি ও সাবান দিয়ে গোসল করা, যৌনাঙ্গ পরিষ্কার রাখা, হাত-মুখ ধোয়া, পরিষ্কার কাপড় পরা এবং পরিষ্কার জিনিস ব্যবহার করা দরকার ।
নিজে সচেতন হোন, অন্যদের সচেতন করুন। অপরাজিতার সাথে অপ্রতিরোধ্য হবার লড়াইয়ে আপনিও যুক্ত হোন।
