জাতীয় যুব দিবস এ বছর ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস ২০২০’ শিরোনামে উদযাপন করা হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দিবসটির এই নামকরণ। এ বছর দিবসটির স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘মুজিববর্ষের আহবান, যুব কর্মসংস্থান’।বাংলাদেশের ইতিহাসে যুবদের বীরত্বপূর্ণ অবদান ও মহান আত্মত্যাগ চিরঅম্লান হয়ে থাকবে। যুব সমাজ জাতির প্রাণশক্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান নিয়ামক। তারা সাহসী, বেগবান, প্রতিশ্রুতিশীল, সম্ভাবনাময় ও সৃজনশীল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মুক্তিসংগ্রামের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় এদেশের যুবসমাজ ত্যাগ, তিতিক্ষা ও আত্মোৎসর্গের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বৃহৎ অংশই যুবসমাজ। আগামী ২০৪৩ সাল পর্যন্ত যুবসমাজের সংখ্যাগত আধিক্যের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তর ও জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জন করতে এ জনমিতিক সুবিধাকে কাজে লাগাতে হবে। যুবসমাজকে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান, আত্মোন্নয়ন ও সমাজ বিনির্মাণে গতিশীল ভূমিকা রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি, প্রাণশক্তিতে ভরপুর আমাদের যুবসমাজ তাদের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে আরও কার্যকর অবদান রাখবে।’

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির মাধ্যমে ইতোমধ্যে ২ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৭ জন শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুবনারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।  ৬৪টি জেলা কার্যালয় ও যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ৪৯৮টি উপজেলায় ৮৩টি ট্রেডে এ পর্যন্ত ৬১ লাখ ৭৬ হাজার ৭০৮ জন যুবককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।’

তিনি মহিলা, শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠ, প্রতিবন্ধী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিও যুবসমাজকে দায়িত্বশীল হয়ে সমাজ-রাষ্ট্র থেকে সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ নির্মূলেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।