৫ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস।
এবছর আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস ২০১৯ এর প্রতিপাদ্য ছিলো “অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য স্বেচ্ছাসেবা”। এটি স্বেচ্ছাসেবীদের অন্তর্ভুক্তিকরণমূলক কর্মকাণ্ডে অবদান এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১০ এর উপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১০ হচ্ছে বৈষম্য হ্রাস যা মূলত দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় বৈষম্য হ্রাস করাকে উৎসাহিত করে।
শহরের পিছিয়ে পরা একটি জনপদকে সাধারণ জীবনধারায় ফিরাতে রাঙামাটি শহরের রুপনগরে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কর্মসূচী পরিচালনা করে ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবী।
মূলত স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের মাধ্যমে বৈষম্য দূরীকরণে এটি একটি প্রচেষ্টা মাত্র। দুইটি দলে বিভক্ত হয়ে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা হয় সাধারণ জনগণের মাঝে। পশ্চাৎপদ এই জনগোষ্ঠীর কাছে স্বাস্থ্য সচেতনতার গুরুত্ব বিশেষ করে তাদের অভ্যাসগত পরিবর্তন আনতে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার গুরুত্ব উপলব্ধি করেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
কর্মসূচীতে মাসিক সম্পর্কে সচেতনতা, মাসিককালীন স্বাস্থ্যের পরিচর্যা, স্যানিটারী ন্যাপকিন ব্যাবহারের গুরুত্ব ও প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। ১৩টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয় স্বাস্থ্যকর স্যানিটারী ন্যাপকিন।
আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, উপজেলা তথ্য অফিসের কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ক্রীড়া সংগঠক আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম, বিশিষ্ট চারুশিল্পী ও রংধনু আর্ট একাডেমীর প্রিন্সিপাল মোঃ ইব্রাহীম।
আয়োজনের শেষে স্বেচ্ছাসেবীদের সনদপত্র বিতরণ করা হয় এবং সামাজিক কাজে বিশেষ অবদান রাখায় দুইজন স্বেচ্ছাসেবীকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
ভবিষ্যতে স্বেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সমাজের অসংগতি ও বৈষম্য দূরীকরণে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকেরা।
