দেশের প্রথম নারী আলোকচিত্রী সাইদা খানম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্য ও লাইব্রেরি সায়েন্সে মাস্টার্স করেন। তাঁর পিতা আবদুস সামাদ খান ও মাতা নাছিমা খাতুন। জন্ম পাবনায় হলেও, পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙায়। ২৯শে ডিসেম্বর ১৯৩৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। স্থিরচিত্রী হিসেবেই শুরু করেন এবং সেই সময় পূর্ব বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশ) তিনিই ছিলেন একমাত্র নারী আলোকচিত্রী।‘বেগম’ পত্রিকার মাধ্যমে আলোকচিত্র সাংবাদিক হিসেবে শুরু করেন সাইদা খানম। তাঁর ছবি ছাপা হয় ‘মর্নিং নিউজ’,‘অবজারভার’, ‘ইত্তেফাক’, ‘সংবাদ’সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। আলোকচিত্রী হিসেবে দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নিয়েছেন তিনি।
১৯৫৬ সালে ঢাকায় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশ নেন সাইদা খানম এবং সে বছরই জার্মানিতে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড কোলন পুরস্কার পান। এর পরই বাংলাদেশে আলোচনায় আসেন। ভারত, জাপান, ফ্রান্স, সুইডেন, পাকিস্তান, সাইপ্রাস ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী হয় এরপর। জাপানে ইউনেসকো অ্যাওয়ার্ড, অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কার, বেগম পত্রিকার ৫০ বছর পূর্তি পুরস্কার, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সম্মানসূচক ফেলোসহ বিভিন্ন পুরস্কার ও স্বীকৃতি পান তিনি।
সাইদা খানম
ক্যামেরার ক্লিকের পাশাপাশি লেখালেখিতেই সময় দিতেন বেশী। তাঁর উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘ধূলোমাটি’, ‘স্মৃতির পথ বেয়ে’, ‘আমার চোখে সত্যজিৎ রায়’, ‘আলোকচিত্রী সাইদা খানম-এর উপন্যাসত্রয়ী’।
তিনি বাংলা একাডেমি ও ইউএনএবির আজীবন সদস্য ছিলেন।
আমরা একজন অপরাজিতার বিদায়ে শোকাহত।