আজ ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, “বিশ্ব ক্যান্সার দিবস”। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। “I AM AND I WILL” অর্থাৎ ‘আমি আছি, আমি থাকবো।’ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আমি আছি, আমি থাকবো এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস।
২০০৮ সালে প্রথম এ দিবস পালন শুরু করে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন এগেইনেস্ট ক্যান্সার কন্ট্রোল (ইউআইসিসি)। গ্লোবোক্যানের তথ্যমতে, ২০১৮ সালে বিশ্বে ১ কোটি ৮০ লাখ ৭৮ হাজার ৯৫৭ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯৫ লাখ ৫৫ হাজার ২৭ জনের। মৃতদের মথ্যে ফুসফুস ক্যান্সারে ১৭ লাখ ৮১ হাজার ৭ জনের মৃত্যু হয়। যা মোট মৃত্যুর ১৮ দশমিক ৪ ভাগ। কোলোরেক্টাল ক্যানসারে মৃত্যু হয়েছে ৮ লাখ ৮০ হাজার ৭৯২ জনের। যা মোট মৃত্যুর ৯ দশমিক ২ ভাগ। স্টোমাক ক্যান্সারে মৃত্যু হয়েছে ৭ লাখ ৮২ হাজার ৬৮৫ জন। যা মোট মৃত্যুর ৮ দশমিক ২ ভাগ। লিভার ক্যান্সারে মৃত্যু হয়েছে ৭ লাখ ৮১ হাজার ৬৩১ জনের। যা মোট মৃত্যুর ৮ দশমিক ২ ভাগ। ব্রেস্ট ক্যান্সারে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৯ জনের। যা মোট মৃত্যুর ৬ দশমিক ৬ ভাগ। খাদ্যনালির ক্যান্সারে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার ৫৮৫ জনের। যা মোট মৃত্যুর ৫ দশমিক ৩ ভাগ। প্যানক্রিয়াস ক্যান্সারে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ২৪২ জনের। যা মোট মৃত্যুর ৪ দশমিক ৫ ভাগ এবং অন্য ক্যান্সারে ৩৪ লাখ ২২ হাজার ৪১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা মোট মৃত্যুর ৩৫ দশমিক ৮ ভাগ।
যেসব কারণে ক্যান্সার হয় তার ঝুঁকিগুলোর মধ্যে- ধূমপান, পান-জর্দা-তামাকপাতা খাওয়া, সবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া, শারীরিক ব্যায়াম না করা, শারীরিক স্থূলতা বা বেশি ওজন, আলট্রাভায়োলেট রশ্মি, এক্স-রে রেডিয়েশন, কিছু রাসায়নিক পদার্থ, কিছু ভাইরাস বা অন্যান্য জীবাণু অন্যতম।
অপরাজিতা নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্যান্সার প্রতিরোধে করনীয় ও প্রতিকারের উপায় নিয়ে পার্বত্যাঞ্চলে কাজ করে যাচ্ছে। সচেতন থেকে মরণব্যাধি ক্যান্সার প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
