১৯ আগস্ট বিশ্ব মানবতা দিবস। ইরাকে ২০০৩ সালে স্থানীয় কার্যালয়ে এক ভয়াবহ বোমা হামলার পর দিবসটি পালনের ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ। হাজারো বিপদ উপেক্ষো করে ত্রাণকর্মীরা যুদ্ধক্ষেত্র এবং ধ্বংসস্তুপ থেকে শুধুমাত্র মানবতার খাতিরে লাখো মানুষের প্রাণ বাঁচায়।
বিপর্যয়ে পড়া মানুষের সহায়তায় মানবতাকে সবার উপরে স্থান দেওয়ার বিষয়টিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে প্রতিবছর ১৯শে আগস্ট আন্তর্জাতিক মানবতা দিবস বা World Humanitarian Day দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
অপরাজিতার সভাপতি সাইদা জান্নাত যিনি সবসময়ই অপরাজিতার প্রতিটি কার্যক্রমে নিজেকে পর্দার আড়ালে রেখে অন্যদের মাঝে নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশের সুযোগ করে দেন। পার্বত্য রাঙামাটিতে খুবই স্বল্প সময়ে তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে দ্রুত শক্ত অবস্থান তৈরী করে নিয়েছে সংগঠনটি। তরুণীদের সচেতন করার পাশাপাশি জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাসিকবান্ধব টয়লেট স্থাপন ও মাসিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে সাইদার নেতৃত্বাধীন অপরাজিতা। আমাদের জন্য সাইদা একজন Real Hero.
পৃথিবীতে এই দিনটি সেই সব মানুষের কথা মাথায় রেখে যাঁরা চরম আত্মত্যাগ করেও মানুষের সেবায়, তাঁদের উন্নতি সাধনে নিজেদের জীবন উত্সর্গ করেছেন। ২০০৩ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফ থেকে আরও একুশ জন সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাগদাদে গিয়েছিলেন সেরগিও ভিয়েরা দ মেলো। সেখানে মৃত্যু হয় তাঁদের। কিন্তু মৃত্যুর আগে প্রায় তিরিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সেই সব মানুষের পাশে নিঃস্বার্থভাবে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন যাঁরা যুদ্ধে সর্বস্ব হারিয়েছেন।
ফ্রান্স, সুইত্জারল্যান্ড, জাপান এবং ব্রাজিলের মতো সদস্য দেশের সহায়তায় এই দিনটিকে বিশ্ব মানবিকতা দিবস হিসেবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। কমবেশি ১৩ কোটি মানুষ বেঁচে থাকার জন্য মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। এই সাহায্য প্রার্থী মানুষদের এক সঙ্গে দলবদ্ধ করা হলে পৃথিবীর দশম জনবহুল দেশ গঠিত হবে। যুদ্ধ, দুর্যোগ এবং তীব্র অরক্ষিত অবস্থার মধ্যে বসবাসকারী মানুষের জীবন রুপান্তর করতে প্রতিশ্র্রুতিবদ্ধ। মানুষ মানুষের হাত ধরবে — পাশে থাকবে।